ekhane-akash-neel-19-jan-2020
দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধরী বলেছেন, ‘শাবনূর একটা থার্ড ক্লাস মেয়ে। ও তো সিনেমা করে উঠে গেল। আর কী আছে ওর? নায়িকাদের কোনো স্ট্যাটাস থাকে নাকি?’
এদিকে নীলা চৌধুরীর এই কথা গুলো পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা শাবনূরের কাছে। নীলা চৌধুরীর মুখ থেকে এ ধরনের কথা শুনে ভীষণ খেপেছেন শাবনূর। বললেন, ‘আন্টির এ ধরনের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। তিনি আমার পরিবার সম্পর্কে না জেনে এভাবে কথা বলতে পারেন না। তার এই কথা প্রত্যাহার করতে হবে।’
চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৩ বছর পর তদন্ত প্রতিবেদন নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। যেখানে বলা হয়েছে, হত্যা নয়, শাবনূরকে নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে সালমান আত্মহত্যা করেছিলেন।
পিবিআই’র এই তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে আসার পর চিত্রনায়িকা শাবনূর, সালমানের তৎকালীন স্ত্রী সামিরা হক ও তার মা নীলা চৌধুরী গণমাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন। তেমনি একটি বক্তব্য দিতে গিয়ে শাবনূরকে ‘থার্ড ক্লাস মেয়ে’ বলেন।
নীলা চৌধুরীর এ কথা চরম আপত্তিকর বলে জানান শাবনূর। এ ধরনের কথা নীলা চৌধুরী কোনোভাবেই বলতে পারেন না বলে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি।
শাবনূর বলেন, ‘আন্টিকে বলব, কারো সম্পর্কে কোনো কথা বলার আগে দয়া করে খোঁজখবর নেবেন। আপনাকে শুধু বলতে চাই, আমার পরিবারের সবাইকে একনামে চেনেন। সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে ভীষণ সম্মানিত। সিনেমায় অভিনয় করতে আসা আমি শাবনূর কখনোই পারিবারিক পরিচয়টাকে সামনে আনিনি। আমি অভিনয় করেছি, আমার মতো করে পরিচয় তৈরি করেছি। আপনাকে অনুরোধ করছি, দয়া করে খোঁজখবর নিন, তারপর কারো সম্পর্কে মন্তব্য করতে আসুন প্লিজ। আমি কোনো ফকিরনি পরিবারের মেয়ে না।’
শাবনূর আরো বলেন, ‘আন্টি তো মুরব্বি। আমার মায়ের মতন। আমি যদি তার মেয়ে হতাম, এভাবে কি তিনি কথা বলতে পারতেন! আমার ধারণা, রাগবশত এই কথা বলেছেন। বেশ কিছুদিন আগে টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সালমানের স্ত্রী সামিরার নামে ভালো কথা বলেছিলাম, তাই হয়তো আন্টির মুড চেঞ্জ হয়ে গেছে। তার আগ পর্যন্ত আন্টি আমাকে নিয়ে কখনোই কিছু বলেননি। কিন্তু তার মুখ থেকে এ ধরনের কথা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আমি কারও কাছে আমার বংশপরিচয় দিতে বাধ্য নই। শুধু এটুকু বলব, আমি ফেলনা নই, আমারও বংশপরিচয় আছে। সবকিছুকে ছাপিয়ে আমি আমার পরিচয়ে বড় হতে চেয়েছি। পরিবারও আমাকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছে। আমি কোনো দিন আমার পরিবারের কথা বলিনি। কারণ, আমি সব সময় জেনে গেছি, আমি শাবনূর। আমি আমার মতো কাজ করে গেছি। আন্টিকে বলছি, কাউকে নিয়ে কটু কথা বলার আগে চৌদ্দবার ভাববেন। এরপর কথা বলবেন।’